চরম সাফল্য: চন্দ্রযানে উদ্বুধ হয়ে এবার মহাকাশের ইতিহাসে সবথেকে বড়ো সাফল্য,বড়ো ঘোষণা ইসরোর!

চন্দ্রযান ৩ এক বিশাল সাফল্য এনে দিয়েছে ভারতকে, যার কান্ডারী মূলত ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে সফট ল্যান্ডিং করে নতুন ইতিহাস লিখেছে আর ভারত। আর তারপর থেকে স্বপ্নের দিগন্ত বেড়েই চলেছে। আর সেই স্বপ্নকে ছুঁতেই দৌড়চ্ছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য যেন অন্য সব মিশনে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে, ভাবতে শিখিয়েছে নতুন করে। মজবুত হয়েছে আত্মবিশ্বাসের খুঁটি। ‘ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ পেয়েছে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের হাত ধরেই এবার একাধিক মিশনের দিকে পা বাড়াচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আর তার মধ্যেই সবথেকে বড়ো ঘোষণাটি করে দিলেন ইসরো প্রধান।

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে ভারত তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করবে।। আমেরিকা, রাশিয়া ও অন্য়ান্য় দেশের লীগে যোগ দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতও তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন চালুর করার পরিকল্পনা করছে।ইসরো চেয়ারম্য়ান এস সোমনাথ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগামী ভবিষ্যতে একাধিক মিশনের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। এরই মধ্যে রয়েছে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠা ও বেশি সময়ের জন্য নভোশ্চরদের মহাকাশে পাঠানো।ইসরো প্রধানের কথায়, “চন্দ্রযানের সাফল্যের পর আমাদের কাছে সম্ভবনার পরিধি আরও বেড়ে গিয়েছে। মহাকাশে স্পেস স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে কী ভাবে ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে মজবুত করা যায় সেই চেষ্টাই করছি আমরা।”

```

ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, “অদূর ভবিষ্যতে স্পেস সেন্টশ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। রোবোটিক অপারেশনের মাধ্যমে চালু করতে হবে এই স্পেশ স্টেশন। গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে।” এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন একমাত্র সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী মহাকাশ স্টেশন। কয়েক দিন আগে ইসরোর তরফে জানা যায়, ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের তুলনায় অনেক ছোট হবে। এই মহাকাশ স্টেশনটিকে মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরীক্ষা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্রের খবর, মহাকাশ স্টেশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা হল মহাকাশচারীদের ২০ দিনের জন্য মহাকাশে রাখা। মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীর উপরে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে তৈরি করা হবে। এই মহাকাশ স্টেশনে ১৫ থেকে ২০ দিন থাকতে পারবেন নভোশ্চররা। মিশন গগনযান সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পদ্ধতিগুলি তৈরি করা হবে।

```

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি মানব মিশনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরো। এবারের গগনযান মিশন সফল হয় তবে ভারতও আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের সারিতে যোগ দেবে। এই দেশগুলি এখনও পর্যন্ত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।